মেয়ে পটানোর নতুন টিপস 2024: বন্ধুরা আজকের এই আলোচনাটিতে আমি আপনাদের এমন একটা ভুলের কথা বলতে চলেছি যার কারণে ৯৫ পারসেন্ট ছেলেদের কপালে গার্লফ্রেন্ড জোটে না। আপনিও যদি সেই ছেলেদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। যদি কোন মেয়ে সিঙ্গেল থাকে এবং তারপরও যদি সে আপনার দ্বারা ইম্প্রেস না হয় তাহলে এর মধ্যে এই ভুলটার অনেক বড় হাত রয়েছে।
তো বন্ধুরা আলোচনাটি সম্পূর্ণ দেখুন কেননা এই আলোচনাতে আমি না শুধু সেই ভুলটার কথা বলব। বরং সে ভুল থেকে কিভাবে শোধরাবেন সে ব্যাপারেও আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। তো চলুন শুরুটা একটা গল্প দিয়েই করা যাক। গল্পটি শুনলেই আপনার ব্যাপারটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মনে করুন একটা মেয়ের আইসক্রিম এবং চকলেট দুটোই খুব ফেভারিট দুইটাকেই খুব বেশি ভালোবাসে, খুব বেশি পছন্দ করে, কিন্তু চকলেটটা সে প্রতিদিন খেতে পায় যখন মন চায় তখনই খেতে পায় কিন্তু আইসক্রিমটা সে শুধু মাঝে মাঝে খেতে পায়। খুব বিশেষ মুহূর্তে বা খুব মুশকিল সে মিলতা হে, তো একদিন তার সামনে আইসক্রিম এবং চকলেট রাখা আছে এখন আপনারাই বলুন সে কোনটাকে খাইতে পছন্দ করবে বা কোনটাকে আগে খাবে। যে দ্বিতীয়বার এই আইক্রিম না জানি আবার কবে খাইতে পারবে। কিন্তু চকলেট সে যখন ইচ্ছা তখনই খেতে পারবে এজন্য আইসক্রিম টাকেই খাবে।
ঠিক তেমনি একটা সিঙ্গেল মেয়ের পেছনে হাজারটা ছেলের লাইন থাকে তাকে হাজারো ছেলে মেসেজ করে এবং তাদের মধ্যে সে অনেকের সাথেই কথা বলে। আর বলবেইনা কেন কারণ সে সিঙ্গেল আছে দেখা যায় সারাদিন সে কমসেকম ৫-৭ ছেলের সাথে কথা বলে। আর ওই ৫-৭ জনই মাছ ধরার মতো বড়শির টোপ ফেলে রাখে যে কখন সে টোপ গিলবে।
তো এখন সে ওই ৫-৭ টা ছেলের মাঝে কাকে সিলেক্ট করবে সে তাকে সিলেক্ট করবে তার সাথে রিলেশন জড়াবে। যে তাকে সহজে পাত্তা দেয় না যে তাকে বেশি ভাও দেয় না এবং এতে আপনাদের সবচাইতে বড় ভুল যে মেয়েকে বশ করতে চান তাকে এত বেশী ভাও দেন তাকে এতটা সময় দেন যে সে আর আপনার সময় আপনার কথার কোন মূল্যই দেয়না।
আপনি তার জন্য সহজলভ্য মানে প্রতিদিনের চকলেটের মত হয়ে গেছেন। বন্ধুরা আমাদের কাছে অধিকাংশ মেয়েদের যে প্রশ্ন আসে সেটা হলো যে তারা যে ছেলেকে পছন্দ করে সেই ছেলে নাকি তাকে ভাও দিচ্ছে না পাত্তা দিচ্ছে না। অধিকাংশ মেয়েই এটা অভিযোগ করে এর কারণ কিন্তু এটা নয় যে মেয়েরা যখন কোন ছেলেকে পছন্দ করলো আর সেই ছেলে তাকে ভাও দিল না পাত্তা দিলো না।
বরং যে ছেলে মেয়েদের পাত্তা দেয়না বা যে ছেলে ব্যাপারে মেয়ে জানে যে সে তাকে পাত্তা দেবে না বা দিচ্ছে না এমন ছেলের পিছনে মেয়েরা ঘোরে কেননা সে যে আইসক্রিমের মত। তো যাকে পছন্দ করে সে ভাও না দেওয়া আর যে ভাও না দেয় তাকেই পছন্দ করা দুটি লাইনের মধ্যে কিন্তু অনেক তফাৎ আছে তো ভাই যদি আপনিও তাকে গার্লফ্রেন্ড বানাতে চান তাহলে তাকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ভাও বা পাত্তা একদম দেওয়া যাবে না তাকে এত উপরে নিয়ে যাবেন না যে তার একটা রিপ্লাই পেলে কোটি টাকার লটারি পাওয়ার মতো মনে হয়।
কেননা দয়া করে মানুষ ২, ১ টাকা দান করে পুরো প্রোপার্টি লিখে দেয়না। ঠিক এমনিভাবে সে আপনাকে দু একটা রিপ্লাই দিলে এর মানে এই নয় যে সে আপনাকে ভালোবাসে। তো যাকে আপনি আপনার পার্টনার বানাতে চান তাকে বেশি ভাও বা তার পিছে ঘুরা বন্ধ করুন।
এখন হয়তো অনেকেই মনে মনে বলেছেন ভাইয়া আলোচনাটি আগে কেন দেননি তো যা হরার হয়ে গেছে যখন আপনি ঘুম থেকে ওঠেন তখনই সকাল হয়। এখন দেখলেন এখন শিখে নিন।
এখন যেন আর এই ভুলটি না হয় আর যদি আপনি অলরেডি এই ভুল করে থাকেন এবং এখনো তার সাথে আপনার যোগাযোগ আছে তো এই চার পাঁচটা কাজ কখনোই করবেন না।
১) যখন আপনি তাকে একটা মেসেজ করেছেন তো ওই মেসেজের রিপ্লাই না আসা পর্যন্ত দ্বিতীয় আর কোন মেসেজ করবেন না। পরদিন সকালে শুধু মর্নিং মেসেজ করবেন।
২) এটা কখনোই করবেন না যে সে বাই বলেছে আর আপনি কথা বলতেই থাকবেন। আপনিও বাই বলুন কথার মাঝখানে বাই বলে চলে যান।
৩) যদি সে আপনাকে অপমান করে। আপনাকে নিয়ে মজা নেয় তো এটা যদি ফান করে হয় আপনিও মজা করছেন সেও মজা করছে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি সে সিরিয়াসলি আপনার মজা নেই। আপনাকে অপমান করে তাহলে আপনাকে সেটা আটকাতে হবে তাকে বলতে হবে যে সে যেন নেক্সট টাইমে এমন না বলে। অথবা আপনার রাগ প্রকাশ করতে হবে। তানা হলে ভবিষ্যতে সে আপনার উপর টর্চার শুরু করে দেবে।
৪) যদি সে আপনার পাশাপাশি অন্য কারো সাথেও কথা বলে, তো সরাসরি তাকে নিষেধ করবেন না যে তুমি অন্য কারো সাথে কেন কথা বল। শুধু আমার সাথেই কথা বলবা এটা একটা ফিলের ব্যাপার, আপনি তাকে এভাবে বলবেন যে তুমি হয় তো বিজি আছো, তোমার রিপ্লাই দেরিতে আসতেছে অন্য কারো সাথে কথা বলতেছো কেন? এভাবে আপনাকে বলার দরকার নেই তো তুমি ফ্রি হলে তখন আমায় মেসেজ কইরো। এতে করে আপনাকে তার ফিল হবে বুঝেন নাই ব্যাপারটা।
তো বন্ধুরা আশা করি আলোচনাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তী নতুন কোনো টপিট নিয়ে আবারও দেখা হবে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন গুড বাই।