প্রিয় মানুষকে খুশি করার ৩ টি সেরা উপায় : হাই গাইস ওয়েলকাম ব্যাক। বন্ধুরা আপনারা কি জানতে চান? একটা মানুষকে প্রশংসা করার সঠিক সূত্রটা কি? যে সূত্র ধরে কাউকে প্রশংসা করলে, সে মন থেকে আপনার উপর খুশি হবে? এমন না যে আপনি তার প্রশংসা করলেন আর সে কোনমতে থ্যাস্কস বলে আপনার ঋণ শোধ করে দিল। তো এই সূত্র ধরে যদি আপনি কাউকে প্রশংসা করেন তাহলে সে আপনার প্রশংসা শুনে আপনার উপর এতোটা খুশি হবে, যে সে অপেক্ষা করবে, যে আপনি কখন তার আবার প্রশংসা করবেন এবং সে আপনাকে ভাও দেবে, পাত্তা দেবে, ইম্পর্টেন্স দিবে।
আর সবথেকে বড় কথা হলো, যে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিভাবে কোন মেয়ের প্রশংসা করতে হয়। আর কিভাবে কাউকে প্রশংসা করে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে হয়। তো কাউকে প্রশংসা করার আসল সূত্রটা কি, সঠিক উপায়টা কি, সেটা নিয়ে আজকে আমি কথা বলব। আমি সফিক আপনাদের সাথে আছি। মনোযোগ দিয়ে না টেটে পুরো আলোচনাটি দেখুন আশা করছি কিছু শিখতে পারবেন।
নাম্বার -১: কম্প্লিমেন্ট একোর্ডিং টু ইউর রিলেশন উইথ হার। বন্ধুরা যখন আপনি কারো প্রশংসা করতে যাবেন, তখন আপনাকে সর্বপ্রথম এটা মাথায় রাখতে হবে, যে তার সাথে আপনার সম্পর্কটা কি বা কেমন। প্রথম কারো সাথে দেখা হচ্ছে বা কথা হচ্ছে সে সময় যদি তাকে গভীর প্রশংসা করেন, সে সময় যদি তার পার্সোনালিটি, অ্যাটিটিউড, কথাবার্তা, এসব নিয়ে কথা বলেন, তাহলে নিশ্চয়ই সে আপনাকে গাঁধা ভাববে কারণ কোন যুক্তিতেই এটা মানায় না। তো যখন আপনি এই সূত্রটা মাথায় রাখবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন, যে কোন সময় বা কাকে কি ধরনের প্রশংসা করতে হবে।
আর যখন আপনি এটা ভেবে তাকে প্রশংসা করবেন, তখন আপনি ১০০% সিওর থাইকেন, যে আর দশজনের চাইতে আপনার কম্প্লিমেন্ট, আপনার প্রশংসাটা তার কাছে আলাদা হবে এবং আপনি তার কাছে আর দশজনের চাইতে ভিন্ন পার্সন হয়ে থাকবেন। আর যখন আপনি এই সূত্রটি মাথায় রাখবেন যে সম্পর্ক বা অবস্থান বুঝে আমাকে প্রশংসা করতে হবে, তখন দেখবেন সেই অনুপাতেই কোন না কোন প্রশংসা বা কোন কম্প্লিমেন্ট আপনার মাথায় এসেছে।
নাম্বার -২: কম্প্লিমেন্ট সামথিং হি হ্যাস কন্ট্রোলার ওভার। তার এমন কোন ব্যাপারের প্রশংসা করা যেটার উপর তার কন্ট্রোল থাকে। মনে করুন: আপনি একটা নতুন সু কিনেছেন। সু টা অনেক সুন্দর কিন্তু সেটা আপনি চয়েস করেন নি, আপনার কোন ফ্রেন্ড আপনাকে চয়েস করে দিয়েছে যে তুই এটা নে। তো যখন কেউ আপনাকে প্রশংসা করল যে আরে! তোর চয়েস তো সেই অস্থির একটা সু নিয়েছিস মামা। তখন কি আপনার মনের মধ্যে সেই পরিমাণ আনন্দ আর সেই পরিমাণ ভালোলাগা কাজ করবে? করবে না বা যে প্রশংসা করলো তার ওপর কি মন থেকে খুশি হতেন? হতেন না, কারণ এটা তো আপনি চয়েজ করেননি।
কিন্তু যদি সু টা আপনি পছন্দ করতেন আর সেই সময় যদি কেও ওই সু টার প্রশংসা করতো। তাহলে আপনি কতটা খুশি হতেন বা যে প্রশংসা করলো তার ওপর কতটা খুশি হতেন। এগজ্যাক্টলি আমিও এটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে, যে জিনিসটা কোন মানুষের মধ্যে ন্যাচারালি আছে, তার হাসি, তার চোখ তার চেহারা, তার বডি এগুলো তো সে নিজে সুন্দর করে বানিয়ে নিয়ে আসেনি তাই না? এগুলোর উপর তার কি কোনো কন্ট্রোল আছে? নেই। আর তাছাড়া আপনার মত হাজারো ছেলে তাকে এগুলো নিয়ে প্রশংসা করেছে, এগুলো নিয়ে তাকে অনেক পাম দিয়ে ফুলে তুলেছে।
এখন যদি আপনিও এগুলোই বলতে চান তাহলে আপনি ফ্লপ খেয়ে যাবেন, আপনিও তার কাছে অ্যাভারেজ হয়ে যাবেন। তো এখানে যদি আপনি তার এমন কোন ব্যাপারে এমন কোন বিষয়ে প্রশংসা করেন যার উপর তার কন্ট্রোল আছে যেগুলো তারমধ্যে ন্যাচারালি না, সে নিজে ক্রিয়েট করেছে, যেমন ধরুন: তার মন মানসিকতার ব্যাপারে বলতে পারেন তার কথা বলার ধরনের ব্যাপারে বলতে পারেন, তার কথার বা আচার ব্যবহারের মাঝে কোন অ্যাটিটিউড নেই, অহংকার নেই সে ব্যাপারে বলতে পারেন লাইক দ্যাট। আপনি কি বুঝতে পারছেন যে আমি কি বলতে চাচ্ছি? মোট কথা হলো আপনি যখনি কারো প্রশংসা করার কথা ভাববেন, তখন মাথায় রাখবেন যে আপনি তার এমন কোন ব্যাপারে তারিফ করবেন যে ব্যাপারটা তার মাঝে আল্লাহ প্রদত্ব বা গড় গিফটেড না।
নাম্বার -৩: কম্প্লিমেন্ট সামথিং ইউনিক। বন্ধুরা হাতে গনা কয়েকটা প্রশংসা আছে যেগুলো সবাই সবাইকে করে। আপনি অনেক সুন্দর আপনার চোখ দুটো অনেক সুন্দর আপনার ড্রেস অনেক সুন্দর আপনার ভয়েস অনেক সুন্দর এগুলো সবাই ইউজ করে। আর এই প্রশংসা গুলো এতো কমন হয়ে গেছে, যে ছোটবেলা থেকে এ পর্যন্ত প্রতিটা মেয়েই এগুলো হয়তো হাজার বার শুনেছে।
তো আপনাকেও এমন করা যাবে না এগুলো ইউজ করা যাবে না। আপনাকে এমন প্রশংসা করতে হবে যেটা সে এর আগে কখনো শোনেনি, বা তার খুব ছোট কোন ব্যাপার যেটা নিয়ে সে কখনো ভাবেনি যে কেও তাকে এটা নিয়েও প্রশংসা করতে পারে, আর এটাকেই বলে ইউনিক কম্প্লিমেন্ট। যেমন: প্রতিটা মানুষ কথা বলার সময় একটা শব্দকে বারবার রিপিট করে। এটা তার অভ্যাস যে কথা বলার সময় সে ওই শব্দটা বারবারই বলে। যেমন, আমি কথা বলার সময় ঠিক আছে? বা বুঝেছেন? তো আপনি যার প্রশংসা করতে চাচ্ছেন, সেও দেখবেন তার কথাই কোন না কোন একটা শব্দকে বেশি ইউজ করে।
তো আপনাকে ওটাই পয়েন্ট বানাতে হবে: যে তোমার মুখ থেকে না এই কথাটা শুনতে খুব ভাল লাগে অনেক কিউট লাগে। তো হইল না ইউনিক প্রশংসা? আর এই ছোট্র একটা কথার কারণে আপনার আরো লাভ হলো। যেমন: মেয়ে মনে করবে যে ছেলেটা তো আমার কথা খুব ভালভাবে খেয়াল করে। যেহেতু সে এই শব্দটাকে অনেক বেশি ইউজ করে। তাই এরপর যখন থেকেই সে এই শব্দটা ইউজ করবে আপনার কথা তার মনে পড়ে যাবে যে আপনি বলেছিলেন তার মুখ থেকে এটা শুনতে অনেক ভালো লাগে। আমি শুধু তার কথার মধ্যে খেয়াল করতে বললাম, আপনি আরো অন্যান্য বিষয়গুলো খেয়াল করবেন, তাহলেই অনেক ইউনিক প্রশংসা করার ক্লু পেয়ে যাবেন ঠিক আছে?