যে ২টি জিনিস না জানলে মেয়ে পটবেই না: অনেক চেষ্টা করলেন মেয়েকে পটানোর জন্য অনেক ঘুরলেন, বিভিন্নভাবে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করলেন কিন্তু মেয়ে আপনাকে বুঝতে পারল না, মেয়ের আপনার প্রতি কোন ইন্টারেস্ট নাই, আর না আপনার ইন্টারেস্টকে সে ফিল করে। বন্ধুরা আপনার অবস্থাও যদি এমন হয় তো আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
আজকে আমি আপনাদের এমন ২টি বিষয়ের কথা বলবো যে বিষয়গুলো কারণে কোন মেয়ে আপনার দ্বারা ইমপ্রেস হচ্ছে না এবং কেউ আপনার প্রতি ইন্টারেস্ট নিচ্ছে না। যদি আপনি এই বিষয়গুলোর উপর কন্ট্রোল রাখতে পারেন, তাহলে সব সময় মনে রাখবেন যে আপনার দ্বারা যেকোন মেয়েকে ইমপ্রেস করা সম্ভব, যে কোন মেয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার প্রেমে পড়ে যাবে আপনার পিছে পড়ে যাবে।
সেই বিষয়গুলো কি কি এবং তার পিছে হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারের সায়েন্স এবং সাইকোলজি কিভাবে কাজ করে এসব কিছু আজ আমি এই আলোচনাতে বলবো। যদি মেয়ে পটাতে চান তাহলে এই ২টি বিষয় আপনাকে জানতেই হবে। আর যদি এই বিষয়গুলো আপনার মাঝে না থাকে তাহলে ইউ আর স্মার্ট।
নাম্বার -১: টু মাচ টকিং, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা। এক ধরণের মানুস আছে যদি আপনি এদের জিজ্ঞেস করেন ভাই কোথায় থাকেন? তখন বলবে, এখন এখানে থাকি আগে ওখানে ছিলাম, ওখানে এটা এটা হয়েছে যার কারণে ওখান থেকে চলে এসেছি এখন এখানেই থাকি। মানে যতটুকু আপনি জিজ্ঞেস করবেন তার চাইতে এক্সট্রা ইনফর্মেশন আপনাকে এরা দিয়ে দেবে। ঠিক তেমনি যদি আপনাকেও কোন মেয়ে প্রশ্ন করে আর তখন আপনিও আপনার কথার সাথে সাথে এক্সট্রা কথা বলেন তাহলে আপনার প্রতি মেয়ের ইন্টারেস্ট কমে যাবে। একটা গবেষণাগার হাজারো মানুষের উপর রিসার্চ করে তারা বলেছে যে যারা কথা বেশি বলে প্রয়োজনের চাইতে কথা বেশি বলে, তারা দেখতে আনঅ্যাট্রাক্টিভ লাগে যারা কথা কম বলে তারা বেশি অ্যাট্রাক্টিভ লাগে।
এজন্য সর্বপ্রথম আপনি আগে নিজেকে অবজার্ভ করুন। যে আপনি কোন ক্যাটাগরির মাঝে আছেন। আপনি কি বেশি কথা বলেন, নাকি প্রত্যেকটা কথার কাট টু কাট উত্তর দেন। যদি আপনার মনে হয় যে, আপনি একটু বেশি বলেন, তাহলে আজকে থেকে বেশি বলার ওপর কন্ট্রোল করুন এবং সেই পরিমাণে বলুন যে পরিমাণ আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়। দেখুন নরমালি কি হয় যে কেউ যদি আপনাকে সামান্য একটা কথা জিজ্ঞেস করে, আর আপনি যদি তার কাছে এক্সট্রা ইনফরমেশন দিয়ে দেন তাহলে সেই মানুষের আপনার প্রতি আর কোন ইন্টারেস্ট থাকে না। আপনার মাঝে আর কিছুই বাকি থাকেনা জানার।
যখন আপনি কারো কথার কাট টু কাট উত্তর দিবেন, তখন আপনাদের মাঝে লং টাইম কথা বলার একটি সুযোগ ক্রিয়েট হবে এবং আপনি তাকে ইমপ্রেস করার জন্য আরো বেশি সময় পাবেন। ওই গবেষণাগার আরো বলেছে যে যারা বেশি কথা বলে তাদের আরো যে সমস্যা হয় সেটা হল, যারা বেশি বলে তাদের মাঝে কনফিডেন্ট থাকেনা, তারা ইনসিকিউর থাকে। যারা বেশি বলে তারা অধিকাংশ মিথ্যা কথা বলে এবং বেশি বলার চক্করে এমন সব কথা বলে ফেলে যেগুলো কখনোই বলা উচিত ছিল না। বন্ধুরা ভাবনা এবং কথা বলা দুইটা কাজ একসাথে আমাদের মাইন্ড করতে পারেনা। এজন্য যখন আপনি বেশি কথা বলবেন তখন আপনি ভাবনা ছাড়া কথা বলবেন, যেটা কাউকে হার্ট করতে পারে এবং আপনি তার কাছে অচিরেই ফালতু হয়ে যাবেন। এজন্য কথা বলার ওপর কন্ট্রোল রাখবেন, তাহলে আপনি অন্যের কাছে বন্ধ সিন্দুকের মতো থাকবেন।
দ্বিতীয় যে জিনিসে উপর আপনার খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল:
বি মিস্টিরিয়াস। নিজেকে সব সময় রহস্যময় রাখুন। আপনারা সবকিছু খুলে কারো কাছে প্রেজেন্ট করবেন না। বন্ধুরা আপনারা কি জানেন যে হীরা কতটা মিস্টিরিয়াস? এই হিরে খোঁজার জন্য ডাইভারদের কতটা সময় লাগে এবং কতটা পরিশ্রম করতে হয়? আর খুঁজতে খুঁজতে যখন সেটা তারা পায়, সেটাও একটা সেলের মধ্যে বন্ধ থাকে যেটা খোলা অনেক কঠিন। এমনও হয়েছে, যে হিরে খোঁজার চক্করে অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর এই কারণেই হীরের মূল্য এতো। হীরের ভ্যালু এতো যা আমাদের আন্দাজের বাইরে।
তো যখন আপনি আপনার ব্যাপারে মানুষকে কম বলবেন, নিজের ব্যাপারে গোপন রাখবেন। তখন সবাই আপনাকে জানার জন্য বেশি চেষ্টা করবে, আপনার প্রতি ইন্টারেস্ট নিবে। কারণ মানুষ নেচারওয়েস কিউরিয়াস হয়। মনে মানুষ প্রত্যেকটি রহস্যময় ব্যাপারগুলোকে জানার বেশি আগ্রহ দেখায়, এটা সৃষ্টিগত ভাবে একটা স্বভাব এবং যে জিনিসের মাঝে কোন রকম একটু ইন্টারেস্ট পাবে, সেই জিনিসের ব্যাপারে জানার আগ্রহ মানুসের আরও বেশি হয়
ঠিক এমনিভাবে যখন মেয়েরাও আপনার ব্যাপারে কম ইনফরমেশন পাবে। আপনার ব্যাপারে তখন তারা বেশি কিউরিয়াস হবে আপনাকে জানার আগ্রহ বেশি হবে এবং আপনার ব্যাপারে সে ভাবতে বাধ্য হবে এবং আপনিও মেয়ের কাছে হীরার মত মূল্যবান হয়ে থাকবেন। আপনার ব্যাপারে জানার জন্য মানুষকে এবং মেয়েদেরকে একটু এফোর্ট লাগাইতে দিন। একটু আপনার পিছনে এট্রাক্ট হতে দিন মেয়ে আপনার পিছনে এমনিতেই পড়ে থাকবে।
বন্ধুরা ২টা পয়েন্ট বলতেই আলোচনা অনেক বড় হয়ে গেছে আরও কিছু কথা বলার ছিল বাকী কথাগুলো অন্য আরেক সময় বলা হবে। তো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন গুড বাই।